মানুষ তখন একটু একটু করে সভ্য হচ্ছে। কী করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকা যায়, শিখছে সেসব কায়দা-কানুন। ওদিকে বনে বনে তখন পশুদের রাজত্ব। হাজার রকমের প্রাণী, অসংখ্য পাখপাখালি। বেশ শান্তিতেই কাটছিল বনের পাখি আর প্রাণীদের দিনগুলো। কিন্তু একদিন হল কী তাড়া খেয়ে মস্ত বড় একটা হাতি এই বনে ঢুকে পড়ল। হাতিটার সেকি বিশাল শরীর। পাগুলো বটপাকুড় গাছের মতো মোটা। শুঁড় এটতাই লম্বা যে আকাশের গায়ে গিয়ে বুঝি ঠেকবে। তার গায়েও অসীম জোর। এই শরীর আর শক্তি নিয়ে তার যত অহংকার। মেজাজটাও ভীষণ তিরিক্ষি। তো- যেই-না হাতিটার এই বনে ঢোকা, অমনি শুরু হয়ে গেল তোলপাড়। নতুন অতিথি এসেছে, সবাই স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু ওই দুষ্টু হাতিটার সে কী তুলকালাম কাণ্ড! খুব জোরে গলা ফাটিয়ে দিল প্রচণ্ড একটা হুঙ্কার। থরথর করে কেঁপে উঠল পুরো বন। গাছে গাছে পরম নিশ্চিন্তে বসেছিল পাখি, তারা ভয়ে ডানা ঝাপটাতে শুরু করল। মাটির তলায় লুকিয়ে ছিল যে ইঁদুর, গুব্রে পোকার দল। তারা বুঝতে চাইল কী এমন ঘটল যে এমন করে কেঁপে উঠল মেদিনী?
২। ক) বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
খ) মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
গ) হাতির ভয়ে বনের পশুদের কী অবস্থা হয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর।
২। উত্তর :
ক) বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ হল একটা বিশালদেহী অহংকারী হাতির বনে আগমন।
বনের সব প্রাণী বেশ সুখেই বাস করছিল। হঠাৎ তাড়া খেয়ে মস্ত একটা হাতি এসে ঢুকে পড়ল সেখানে। হাতিটার বিশাল শরীর, মোটা পা, লম্বা শুঁড়, গায়েও অসীম জোর। এই শরীর আর শক্তি নিয়ে তার অনেক অহংকার। মেজাজটাও ভীষণ তিরিক্ষি। তো- যেই-না হাতিটার এই বনে ঢোকা, অমনি শুরু হয়ে গেল তোলপাড়। দুষ্টু হাতিটার তুলকালাম কাণ্ড শুরু করল। প্রচণ্ড একটা হুঙ্কার দিল। হাতিটার এমন অদ্ভুত আচরণের কারণেই পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল।
খ) মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কারণ সভ্য মানুষ পারস্প